এক ফ্রীলেন্সার জননীর গল্প

২০১৩ সাল। প্রায় ৪ বছর আগের কথা। বাসায় এক বয়স্ক মহিলা কাজের জন্য এসেছেন। আমার বৌ দেখেই রেখে দিলেন। বাড়ি বারদি, নারায়ণগঞ্জ। ধীরে ধীরে আমার বউকে আপন করে নিলেন। এক সময় আমার বউ এর কাছে টাকা জমা রাখতে শুরু করলেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের দিকে লিভারের সমস্যা নিয়ে একেবারে বাড়ি চলে যান। ঈদের ২ দিন পর খবর আসে উনি মারা গেছেন। বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে সব সময় বলতেন আমার বাড়িতে নিয়ে যাবো আপনাদের। সেই গেলাম উনার বাড়িতে কিন্তু উনি আর নেই এই জগতে। টাকাটা উনার মৃত্যুর পর মেয়েকে দিয়ে দেয়া হয়েছিল। টাকার কথা শুনে উনারাতো অবাক! যাইহোক গতকাল ০৪-০৮-১৭ তারিখে উনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম। সবাই আমাদের জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল। উনি আমাদের সম্পর্কে এত কিছু বলেছেন সবাই আমাদের দেখার জন্য যেন অপেক্ষা করছে। সত্যি বলতে আমরা এত সম্মানের প্রাপ্য ছিলাম না।

আমার মেয়ে এর বয়স ১ বছর। ও এবারই প্রথম মাটিতে-কাদায় গড়াগড়ি করলো। সে কি আনন্দ। মানুষ কেন মানুষকে এত মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে।

আজ দেখলাম একজন গৃহকর্মীকে মেরে ফেলেছে রামপুরা বনশ্রীতে। ভাবতে অবাক লাগে সভ্য মানুষের মুখোশ পরে পয়সার জোরে একজন মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। সমাজে কি পরিমান ঘুণে ধরলে এই অবস্থায় এসে পড়ে একবার ভাবুন। বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে বলতেই সারাদেশের ঘটনাগুলো অবিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।

আসার পথে বারদি লোকনাথ আশ্রমটা দেখে এলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *